লালপুরে ৬ ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে ৬টি বন্ধের নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন মালিকরা। ক্লিনিক মালিকরা মুচলেকা দিয়ে ক্লিনিক বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, মানবকল্যান মডেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্বপ্নিল জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সিনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওয়ান ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও গালিব ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়াবেটিস্ সেন্টার।
মঙ্গলবার (৩১ মে ২০২২) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, বন্ধের নোটিশ ঝুলানো থাকলেও গোপনে কার্যক্রম চলছে। প্রতিষ্ঠানের আউটডোর খোলা রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলায় ৬টি ক্লিনিকের মধ্যে নিবন্ধিত ৩ টি ও অনিবন্ধিত ৩টি। আর ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে নিবন্ধিত ১১ টি ও অনিবন্ধিত ৭টি।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার উপজেলার সব কয়টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে সিভিল সার্জন দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রাংশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লিনিক মালিকরা মুচলেকা দিয়ে ক্লিনিক বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে সংশোধনের জন্য সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব চিকিৎসাকেন্দ্র ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্র বন্ধে ব্যবস্থা নিবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিষ্ঠানের মালিক জানান, তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। অনুমোদন পেলে পুণরায় চালু করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। সময়সীমার মধ্যে নবায়ন না করলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিয়া ও অপারেশন থিয়েটার চালু রাখার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক থাকতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিবন্ধন বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের নিবন্ধন দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। নিবন্ধন পাওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য