খালেদা জিয়াকে কারাগারে স্থানান্তর
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা। ।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল থেকে আজই তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে আদালতে আনা হয়। আদালতের কার্যক্রম শেষে খালেদা জিয়াকে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল। এতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া আদালতে এই দাবি করেন।
শুনানি শেষে এই আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবির আগামী বুধবার (১৪ নভেম্বর) এই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। ঢাকা বিশেষ আদালত-৯–এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে।
শুনানিতে খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন। কাজেই তাঁকেও এখানে হাজির করা উচিত।
এ সময় বিচারক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মামলার আসামি নন। কাজেই তাঁকে এখানে হাজির করানোর কোনো প্রশ্ন ওঠে না।’
এরপর এই মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। প্রথমে মওদুদ আহমদ আজ শুনানি না করার জন্য আদালতে একটি দরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু আদালত সে দরখাস্ত নামঞ্জুর করে তাঁকে শুনানিতে অংশ নিতে নির্দেশ দেন।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছিলেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং রুল দেন। প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক আমিনুল ইসলাম ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য