logo
news image

বনপাড়ায় রোগীর মৃত্যু-হাসপাতাল সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম।  ।  
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় হেলথ কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত হাসপাতাল মালিককে আটক করে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে বনপাড়া হেলথ কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে এই রোগী মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমাইয়া (১৭) বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের তালশো গ্রামের রাহাবুলের মেয়ে। ২ মাস আগে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মোঃ কমেদ সরকারের ছেলে সবুজের সাথে সুমাইয়া খাতুনের বিয়ে হয়।
রোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া খাতুন এপেন্ডিসাইটিস সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তার পেটে ব্যথা হলে আত্মীয় স্বজন তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করান। রাতে ডাঃ সামিরা তাবাচ্ছুম সাথী অপারেশন করেন। অপারেশন শেষে সুমাইয়ার বুক জ্বালাপোড়া শুরু করলে তার মা মোমেনা খাতুন হাসপাতালের নার্সদের অবহিত করে। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাঃ নার্সদের অবহেলার কারণে রবিবার সকালে সুমাইয়ার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় হেলথকেয়ার এর মালিক সুজনের বাবা আরশেদ আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা চিকিৎসা কাজে অবহেলার অভিযোগ তুলে বাক-বিতণ্ডা করলে একপর্যায়ে চিকিৎসক-ম্যানেজার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা হাসপাতাল অবরোধ করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজ জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসপাতালের কাগজপত্র দেখতে চাই। পরে কেউ কোনো ধরনের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সাময়িকভাবে ওই হাসপাতালটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নজমুল হক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এই ঘটনায় একটি নিয়মিত  মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর দিকে বড়াইগ্রামে ক্লিনিকে আরো এক রোগীর মৃত্যু-ক্লিনিক ভাংচুর করেছে রোগীর স্বজনরা।  শনিবার বিকালে উপজেলার রাজাপুর সৌরভ ক্লিনিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি রহিমপুর গ্রামের খলিল সরদারের স্ত্রী নীলা বেগমের (৫৮) অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন করা হয়।  হাসপাতালের মালিক মুলাডুলি এলাকার ফকির শেখের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার উমেদ আলী অপারেশনটি করেন। কিছু সময় পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তিনি মারা যান।  কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখে তাকে অন্যত্র নিতে বলেন।  স্বজনেরা রোগী নিয়ে চলে গেলে ক্লিনিক মালিক সবাইকে বের করে দিয়ে গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা এসে হাসপাতালটি ভাংচুর করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি, তবে খবর নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top