logo
news image

অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।
শনিবার (৮ অক্টোবর ২০২২) বিকেলে আদালত লালপুরের ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক ও লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ।
আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে স্টেনোগ্রাফার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, বিগত ০৫/১০/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে দৈনিক আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্সচালক’ শিরোনামে একটি সংবাদ অত্র আমলী ম্যাজিস্ট্রেটের গোচরীভূত হয়। সংবাদটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কানে স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে রোগী দেখছেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক আমজাদ হোসেন। গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পরপরই অ্যাম্বুলেন্সচালকের চিকিৎসা প্রদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমজাদ হোসেন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে এবং রোগী বহনকারী ব্যক্তিমালিকানাধীন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক।
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হাসপাতাল চত্বরে দালালি করে। স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো কোনো স্টাফদের সাথেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। হাসপাতালে রোগী আসলেই আগ বাড়িয়ে সে তাদের সাথে পরিচিত হয় এবং তাদের সমস্যা সমাধান করার কথা বলে আর্থিক সুবিধা নেয়।
গণমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পান। বিষয়টিকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর  ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারী অপরাধ বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
শনিবার আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ১৯ অক্টোবর তারিখে আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
রোববার (৯ অক্টোবর ২০২২) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুরুজ্জামান শামীম বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমজাদ একজন রোগী নিয়ে আসেন হাসপাতালে। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. জামিলা আক্তার এবং তার সহকারী ইয়াসমিন অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে আমজাদ ওই রোগীর প্রেশার পরীক্ষা করেন। এতে করে আমজাদ নিজেও বিপদে পড়েছেন হাসপাতালের সম্মানও নষ্ট করেছেন। তবে আদালতের কোনো আদেশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেননি বলে জানান তিনি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, আদালতের পরোয়ানা জারির বিষয়টি জেনেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। আদেশের কপি পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top