logo
news image

বড়াইগ্রামে জোর পুর্বক ঘরবাড়ি ভাংচুর করে রাস্তা নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রামে জোড় পুর্বক ঘরবাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করা অভিযোগ উঠেছে মজিদ আকন্দ (৫৪) নামের ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে আব্দুল মজিদসহ ১১জনকে আসামী করে নাটোর কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। মজিদ আকন্দের উপজেলার মৃত গণি আকন্দের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল মৌজার নাসির মোড়ের ১৩৬ ও ১৩৯ দাগে রাস্তা সংলগ্ন আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজন তাদের বাবার পৈতৃক সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত ৬টি দোকান ও ১টি বাড়ী ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছে। এই জমির ১৩৯ দাগের পাশে দিয়ে সংগ্রামপুর অভিমুখে ডবিøউএইচবিবি করণ সরকারী রাস্তা রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাপ জরিপে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৬ তারিখে মজিদ আকন্দ তার ভারাটিয়া বাহিনী দিয়ে জোর পুর্বক গাছ কেটে ফেলে, দোকান ঘর, বাড়ি ভাংচুর করে ও লুটপাট করে। ডবিøউএইচবিবি করণ রাস্তা মাটিকাটা মেশিন দিয়ে কেটে আমজাদ হোসেনের বাবার পৈতৃক সম্পত্তির উপর দিয়ে নির্মাণ করে মজিদ আকন্দ। যারফলে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধীত হয়।
আরো জানাযায়, মজিদ আকন্দের ১১ শতাংশ জমির মালিক। এই জমির পাশ দিয়ে সংগ্রাম পুরের অভিমুখে রাস্তা। রাস্তার জায়গা নিজের দাবী করে কিছুদিন আগে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
আব্দুল মজিদ আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা ছিল। আমি সেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ৪ গ্রামের জনগণ এই রাস্তা নির্মাণ করেছে।
কিন্তু শতাধীক বছরের পুরোনো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারন, কোথাও কোন অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাই কোন উত্তর দিতে পারেন নাই।
আব্দুল মজিদ আকন্দের ভাতিজা নুরুল আকন্দ বলেন, আমজাদ হোসেনদের বিরুদ্ধে পুরোটাই জুলুম করা হয়েছে। আমার চাচা এবং আমরা মিলে ১১ শতাংশ জমির মালিক। অথচ কমপক্ষে ২০ শতাংশ জমি হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক তোজাম বলেন, সরকারী রাস্তা দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক দিলিপ কুমার দাস বলেন, তদন্ত করে প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top