শাবি চতুর্থ ব্যাচের রজতজয়ন্তী উৎসব উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শাবি। ।
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ ব্যাচের (১৯৯৩-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষ) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘রজত জয়ন্তী উৎসব’ উদযাপন করা হয়েছে। ‘বন্ধুত্বের ২৫ বছর’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে রজত জয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এ বি এম কামরুজ্জামান কামরুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রজতজয়ন্তী উৎসব একটি স্মৃতিচারণের জায়গা। শুনেছি এ ব্যাচের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী খুবই ভালো জায়গায় অবস্থান করছে। যা আমাদের জন্য অনেক গৌরবের। আশা করি আগামীতেও এ ধারা অব্যহত থাকবে।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রোগ্রাম আরও অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১২শ কোটি টাকার কাজ হবে। ক্যাম্পাসে আরও ২৩টি ১০ তলা ভবন সংযুক্ত হবে। আমরা আশা করি, আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে আমাদের ক্যাম্পাসের স্কাইলাইন পরিবর্তন হয়ে যাবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রজত জয়ন্তী উৎসবের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান।
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে বেশির ভাগই আমার ছাত্র। অনেকদিন পর সবাইকে একসাথে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগতেছে। এবিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষকতা জীবনের প্রথম ব্যাচ হচ্ছে ৪র্থ ব্যাচ। আপনাদের সাথেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার যাত্রা শুরু।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা ছাড়া এধরনের প্রোগ্রাম করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। অনেকে প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৯টি বিভাগ দিয়ে আমাদের পথ চলা শুরু হয়েছে। আমরা আমাদের এ পথচলাকে ধরে রাখতে চাই। আর তার জন্য সবার মানসিক সহযোগিতা দরকার। তাহলে আমরা আমাদের এই বন্ধুত্বকে অটুট রাখতে পারবো।
অধ্যাপক ড. মো. মস্তাবুর রহমান বলেন, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা সবাই আবার নতুন হয়ে গেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের অনুভূতি অন্যরকম। আমরা সবাই এ বিশ্ববিদ্যালকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয় তার আপন গতিতে আরো এগিয়ে যাবে।
পরে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের সামনে থেকে একটি আনন্দর্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে এসে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘উচ্ছ্বাস’ নামক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ম্যাগাজিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচের অকাল মৃত্যুবরণকারী ৭ জন শিক্ষার্থীকে উৎসর্গ করা হয়।
এদিকে আয়োজনের ২য় পর্বে বিকাল থেকে নিজেদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, রজত জয়ন্তীতে উপস্থিত ডেলিগেটদের সন্তানদের নিয়ে খেলাধুলা ও পিঠা উৎসবের আয়োজন এবং সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ‘বাউল সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য