লালপুরে ৪২ মন্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা
নিজস্ব প্রতিবেদক। ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৮ সেপ্টম্বর শুভ মহালয়া। এদিন মা-বাবার বাড়িতে আগমন করবেন দূর্গা। তাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে নাটোরের লালপুর উপজেলার পূজামন্ডপ গুলিতে মৃৎশিল্পীদের।
ইতোমধ্যে তারা মাটির কাজ শেষ করে রং-তুলির খেলায় মেতে উঠেছেন। আগামী ৩ অক্টোবর মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে মন্দিরে স্থাপিত হবে দুর্গা প্রতিমা। পরের দিন মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিলমাড়ীয়া শ্রী চৈতন্য সংঘের সাধারন সম্পাদক দুলাল কর্মকার জানান, এ বছর মা দুর্গা ঘোটকে করে শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন আর যাবেন ঘোটকেই। ধূপ, কাশা, ঘণ্টা আর ঢাকের তালে তালে শুরু হবে শারদীয় উৎসব। তাই শেষ সময়ে চলছে মা দেবী দুর্গার প্রতিমা প্রস্তুতি। যেন দম ফেলার সময় নেই প্রতিমা শিল্পী ও কারিগরদের। প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে রং-তুলির শেষ কাজ। লালপুর উপজেলা প্রশাসন ও লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার উপজেলায় ৪২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ মন্ডপ গুলো হচ্ছে গোপালপুর পৌরসভায় ৬ টি, লালপুর ইউনিয়নে ৬ টি, ঈশ্বরদী ইউনিয়নে ৩ টি, চংধুপইল ইউনিয়নে ৪ টি, আড়বাব ইউনিয়নে ৪ টি, বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নে ৩ টি, দুয়ারিয়া ইউনিয়নে ৪ টি, ওয়ালিয়া ইউনিয়নে ৪ টি, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে ৬ টি, আর্জুনপুর – বরমহাটি ইউনিয়নে ১ টি, কদিমচিলান ইউনিয়নে ২ টি।পুজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী আশিত কুমার ও তাদের সহযোগী কারিগররা বলেন, যেহেতু আর সময় নেই তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে চলেছেন তারা। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলো কে জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এই প্রতিমার নির্মাণ মূল্য ৩০ হাজার টাকা।
লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন ভদ্র বলেন, এবার লালপুর উপজেলায় ৪২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গপূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, প্রতিবছরই লালপুরে সার্বজনীনভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে এ উৎসব প্রাণের উৎসবে রূপ নেয়। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে এই ধর্মীয় উৎসব পালন হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, এবার উপজেলায় ৪২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য