logo
news image

ঢাকা থেকে পঞ্চগড় ট্রেন চালু ১০ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও পঞ্চগড়।  ।  
ঢাকা থেকে পঞ্চগড় রুটে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ট্রেন সার্ভিস। আগামী ১০ নভেম্বর নতুন এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের দূরত্ব হবে ৬৩৯ কিলোমিটার। এটিই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি দূরত্বের ট্রেন সার্ভিস। ২৩টি রেলস্টেশন ঘুরে ঢাকার এই ট্রেন যাবে পঞ্চগড়ে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবির ফলে ঢাকা-পঞ্চগড়ের মধ্যে সরাসরি ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসার মাধ্যমে এই ট্রেনের চলাচল শুরু হবে। সরাসরি এই সার্ভিস দেওয়ার কথা বলা হলেও ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যেতে ২৩টি স্টেশনে থামবে ট্রেন। তবে নতুন সার্ভিসের কথা বলা হলেও চালানো হবে পুরোনো ট্রেনই। বর্তমানে ঢাকা-দিনাজপুর রুটে দ্রুতযান এবং একতা ট্রেনকে নিয়ে যাওয়া হবে পঞ্চগড় পর্যন্ত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনাজপুর-পঞ্চগড় রুটের যাত্রীরা সরাসরি ঢাকায় আসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। দ্রুতযান ও একতা ট্রেনের সার্ভিস বর্ধিত হয়ে পঞ্চগড় থেকে ঢাকার মধ্যে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি পঞ্চগড়-দিনাজপুরের মধ্যে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী এবং দিনাজপুর-ঢাকার মধ্যে পুরোনো সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। এতে দিনাজপুর-পঞ্চগড় রুটের সাঁটল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কোনো সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকবে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (ট্রাফিক) মাহবুবুর রহমান বলেন, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে দূরত্ব হবে ৬৩৯ কিলোমিটার। যা দেশের সবচেয়ে দূরত্বের ট্রেন সার্ভিস। দ্রুতযান ট্রেনটি পঞ্চগড় রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে প্রতিদিন সকাল সাতটা ২০ মিনিটে। ১০ ঘণ্টা ৫০ মিনিট পর ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ছয়টা ১০ মিনিটে। ঢাকা থেকে দ্রুতযান ছাড়বে প্রতিদিন রাত আটটায় এবং পঞ্চগড় পৌঁছাবে সকাল ছয়টা ৩৫ মিনিটে। তিনি বলেন, একতা এক্সপ্রেস পঞ্চগড় থেকে ছাড়বে প্রতিদিন রাত নয়টা। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে পরদিন সকাল আটটা ১০ মিনিটে। ঢাকা থেকে একতা এক্সপ্রেস ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ১০টায় এবং পঞ্চগড় পৌঁছাবে রাত পৌনে নয়টায়।
দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা মোট ১৩টি। প্রায় ১২০০ যাত্রী বহন করতে পারবে বলে জানান পঞ্চগড় রেলস্টেশন মাস্টার মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দ্রুতযান ও একতায় প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৯৪২ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫৩ টাকা, নন এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ১৪৫ টাকা ও শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৫০ টাকা।
এ দিকে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) থেকে ঢাকা- বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। এই রেলপথ দিয়ে টাঙ্গাইল কমিউটার-১ ও ২ নামে একজোড়া ট্রেন চলাচল করবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশনে নতুন এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে এবং বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে আটটায়। সেখান থেকে প্রতিদিন সকাল ছয়টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল আটটা ৫০ মিনিটে। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি ১০টি কোচ নিয়ে চলাচল করবে। আগে তুরাগ নামে ঢাকা-জয়দেবপুরের মধ্যে চলাচল করত এই ট্রেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top