শুদ্ধাচার পুরস্কারে পাওয়ায় সংবর্ধনা
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শামীমা সুলতানা শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই ২০২৩) উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাবনী সুলতানা, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি, অধ্যক্ষ বাবুল আক্তারসহ সকল দপ্তর প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, বিবাহ রেজিস্ট্রার, সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছে সরকার। অনেক নারী, সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রায় তিন’শ বছর আগে এই নাটোর মহারানী ভবানী শাসন করতেন বলে একে অর্ধবঙ্গেশ্বরীর নাটোর বলা হয়। নাটোরের সার্বিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সেই সময় তাঁর ছিল বৃহত্তম ভূমিকা। আর মহারানীর একটি মেয়ে ছিলেন তারা সুন্দরী। নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের লাহিড়ী বাড়িতে তাঁর বিয়ে হয়। এই লাহিড়ী বাড়িতে আরো ৬ রাজকন্যার বিয়ে হয়েছিল বেল অনেকে একে বলেন সাত রাজকন্যার নাটোর। সেই নাটোরে বর্তমান ৭টি উপজেলায় শীর্ষ কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন ৭ জন নারী।
ন্যায় নিষ্ঠা আর দক্ষতার সাথে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে নাটোরের সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে শুদ্ধাচার পুরস্কার এ ভূষিত লালপুরের ইউএনও শামীমা সুলতানার হাতে গত ২৫ জুন ২০২৩ এই শুদ্ধাচার সম্নাননা তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সামিউল আলিম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রওনক জাহানসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
জীবনবৃত্তান্ত: নাটোরের লালপুরের ৩৮তম ইউএনও হিসেবে শামীমা সুলতানা ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর যোগদান করেন।
তিনি নওগাঁ সদরের চন্ডিপুরে ১৯৮৭ সালের ৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মোমেন (সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ও মাতা আশেদা খানম (গৃহিণী)। স্বামী সামিউল আমিন, ৩১তম বিসিএস (প্রশাসন)। তাঁদের একমাত্র সন্তান অগ্র। তিনি ঢাকার ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
৩৪তম বিসিএস (প্রশাসন) এই কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০২১ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সিনিয়র সহকারী কমিশানার হিসেবে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ইতিবাচক শক্তিশালী সম্ভাষণ ‘নারী কর্মকর্তা’। অসাধারণ সাধ্য মায়া-মমতা দিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। ‘জনসেবার জন্য প্রশাসন’-এই মূলমন্ত্র হৃদয়ে ধারন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক উদ্যোগের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য