জমি ও ঘর পেলেন ৩৭ জন
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে ঈদ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ৩৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নতুন করে জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছেন। উপজেলায় ৪৭৪ জনের আবাসনের ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূমিহীন (ক শ্রেণি) ও গৃহহীন পরিবার মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল ২০২২) একযোগে সারা দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোকসানা মোর্তুজা লিলি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, উপজলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, লালপুর ইউপি আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, ঈশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু, চংধুপইল ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান, বিলমাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিক আলী মিষ্টু, দুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম লাবলু, ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী আলম, দুড়দুড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, এবি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আসলাম, কদমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান আনছারুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক শ্রেণির) পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষে ২০১৯ সাল থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে লালপুর উপজেলায় প্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার পাচ্ছেন দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর; সাথে বিদ্যুৎ সংযোগসহ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে ঘর প্রদান প্রকল্প।
প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয় (লালপুর ইউনিয়নে-১৩টি, আড়বাব ইউনিয়নে-৭টি, অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নে-১৫টি এবং কদিমচিলান ইউনিয়নে-৭)। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি পরিবার (লালপুর ইউনিয়নে-৩৯টি ও আড়বার ইউনিয়নে-১১টি)। ৩য় পর্যায়ের গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান ১৪২টি পরিবার এই সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে (১ম ধাপে) মোট ৩৭টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে।
ইউএনও শামীমা সুলতানা বলেন, ২০২০ সালের তালিকা অনুযায়ী উপজেলায় ভূমিহীন (ক শ্রেনির) ও গৃহহীনের সংখ্যা ৪৭৪ জন। প্রথম পর্যায়ে ৪২ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০ জন মোট ৯২ টি গৃহহীন পরিবার ২ শতক খাস জমিসহ মুজিব শতবর্ষের একক গৃহ পেয়েছেন। তৃতীয় পর্যায়ে ১৪২টি ঘর নির্মানের বরাদ্দে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পদ্মার চরের রসুলপুর মৌজার ৯ দশমিক ৫০ একর খাস জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত রসুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি ব্যারাকে ২৪০টি ভূমিহীন পরিবারের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য- প্রথম পর্যায়ে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল-১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল-১ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং ৩য় পর্যায়ে বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরও টেকসই ও মজবুত করার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য