logo
news image

অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন আলমগীর কবীর পরাগ

ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
সমৃদ্ধ ও শান্তির লালপুর বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা এআইজি হিসেবে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে কর্মরত আলমগীর কবীর পরাগ অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে ২০২২) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ শাখা-১ কর্তৃক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত পত্রে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ৪৩ জন কর্মকর্তাকে এই পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
তাঁর এই কৃতীত্বে দৈনিক প্রাপ্তি প্রসঙ্গ পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ১৯৭৩ সালের ১১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন মো. আলমগীর কবীর পরাগ, পিপিএম-সেবা। পিতা মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মো. আদম আলী, মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠন ও শিক্ষক এবং মাতা মোছা. আজমিরা খাতুন, শিক্ষক। স্ত্রী নুরীয়া পারভীন, সাপ্তাহিক লালপুর বার্তা পত্রিকার প্রকাশক, প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং গ্রীনভ্যালী পার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তাঁদের সন্তান শাহরোজ কবীর ও সাফওয়ান কবীর প্রাপ্তি।
মা-বাবার দ্বিতীয় সন্তান তিনি। বড় বোন আরজুমান্দ বানু পুষ্প, নাটোর জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ও ছোট বোন আঞ্জুমানারা পাপড়ি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
তিনি মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি, রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি ২০তম বিসিএস (পুলিশ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০১ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। দশম এপিবিএম প্রশিক্ষণ শেষে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে সিলেট, পুঠিয়া সার্কেল, বগুড়া হাইওয়ে, রাঙ্গামাটি বারবনিয়া ব্যাটালিয়ান, সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে জয়পুরহাট, এডিসি (ডিএমপি), ডিবি, পুলিশ স্টাফ কলেজ, কংগো মিশন, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং ২০১২ সালে উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে ডিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে রাজশাহী, পাবনা, রাঙ্গামাটি জেলা ও এআইজি হিসেবে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২২ সালের ৩১ মে অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কর্মক্ষেত্রে সুদক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৯ সালে তিনি পিপিএম-সেবা পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি ১৯৯৮ সালে লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। ওই সময় প্রকাশিত দ্বিতীয় স্মরণিকা ‘মঞ্জরী’র সম্পাদনা করেন। ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন লালপুর পাবলিক লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে লালপুরবাসির মধ্যে দলমত নির্বিশেষে সুহৃদ ভ্রাতৃত্বের এক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। সকলের সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে একটি লাইব্রেরির দৃষ্টি নন্দন স্বতন্ত্র চারতলা ভবন নতুন ইতিহাসের জন্ম দেয়। মানব কল্যাণের কলেবর বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠা করেন প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন। বুকে লালনকৃত দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, দেশাত্মবোধ উজ্জীবিত করতে আয়োজন করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মানবতা বোধ, নৈতিক শিক্ষা, মেধার বিকাশ ঘটাতে ও গরীব মেধাবীদের সহযোগিতায় নেন বিভিন্ন পদক্ষেপ। চালু করেন তাঁর বাবার নামে ‘মুক্তিযোদ্ধা আদম আলী শিক্ষা বৃত্তি’। তিনি লালপুরে গ্রীণভ্যালী পার্ক লিমিটেডের উদ্যোক্তা।
তিনি ঢাকাস্থ লালপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতি ও রাজশাহীস্থ লালপুর উপজেলা ছাত্র কল্যাণ ফোরামে প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top