logo
news image

উন্নয়নে বদলে গেছে বাঘার চিত্র

নুরুজ্জামান,বাঘা (রাজশাহী)
রাজশাহীর বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় নানা মূখি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) থেকে বর্তমান সরকারের ৯ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন হয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ সকল উন্নয়ন মূলক কাজের মধ্যে রয়েছে-রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার , ব্রীজ-কালভাট স্থাপন, স্যানিটেশন স্থাপন, বাস টার্মিনাল নির্মান, স্কুল ঘর নির্মান ও সংস্কার, ফায়ার স্টেশন নির্মান, আবাসন প্রকল্প,পুলিশ ফাঁড়ি এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান।
স্থানীয় লোকজন মনে করছেন, বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য ও বর্মমান সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহারিয়ার আলমের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তারা বলছেন, কিছু প্রকল্পের কাজে কিনচিত অনিয়ম হলেও সেটি বড় করে না দেখে উন্নয়ন হয়েছে কি-না সেটি দেখা প্রয়োজন। এ দিক থেকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার লোকজনের মুখে তাঁর ত্রুটি বিৎচ্যুতির চেয়ে উন্নয়নের কথাই বেশি শোনা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার পর-পর দুইবার ক্ষমতায় আসার পর বাঘার দু’টি পৌর সভা, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এবং ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে গত ৯ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের মাধ্যমে উন্নয়ন হয়েছে ৭৫ কোটি ৫০ লাখ। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ সড়ক ও হাট বাজার, আই আর আইডিপি প্রকল্প বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগ সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প ও জন গুরুত্বপুর্ণ গ্রামীন যোগাযোগ ও পুর্ণাবাসন খাতে ব্যায় হয়েছে ৪ কোটি ১১ লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিবি) বাবদ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক খাতে ৭৩ লক্ষ টাকা এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন খাত থেকে সাড়ে ১৪ কিলো মিটার রাস্তা নির্মাণ বাবদ ব্যয় হয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও ভূমিহীন ও অসহায় মুক্তি যোদ্ধাদের ৫ টি বাড়ি নির্মাণ বাবদ ব্যয় হয় ৪৪ লক্ষ টাকা এবং চিপ প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান বাবদ ৫ কোটি টাকা ও জিপিএস (আর আর পিএস) শীর্ষ প্রকল্পের আওতায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পূনঃনির্মাণ ও সংস্কার বাবদ ব্যয় হয় ৩ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বাবদ ব্যায় হয় ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা।
অপরদিকে ওই একই বছরে পিডিপি (৩)এর আওতায় ৪টি স্কুল ও উর্ধমূখী সম্প্রসারণ খাতে ব্যায় হয় ২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিবি) খাত থেকে ২৬ টি প্রকল্পের জন্য ব্যায় হয় ৫০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এ সমস্ত কাজের মধ্যে রয়েছে, রাস্তা সংস্কার, প্রাচীর নির্মান, মেরামত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রিং স্থাপন ও টয়লেট নির্মাণ।
সরেজমিন এ সকল প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর মাধ্যমে যে সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার মধ্যে দু’একটি রিপিয়ারিং (পূনর নির্মান) বাদে অধিকাংশই কাজই সন্তশ জনক।এর মধ্যে সোনাদাহ্-পাঁচপাড়া, সরের হাট-চাঁদপুর এবং আড়ানী-বাউসা এলাকার পাকা রাস্তা ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন-যাত্রা বদলে দিয়েছে। তারা এই রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন জনদুর্ভোগে থাকার পর যেন দেহে প্রাণ এবং স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
বাঘার লোকজন বলছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অত্র উপজেলায় গত ৯ বছরে অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে।
আর এ গুলো সবই সম্ভব হয়েছে স্থানীয় সাংসদ ও বর্তমান সরকারের সুযোগ্য ও সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহারিয়ার আলমের সঠিক সিদ্ধান্ত ও দক্ষতার কারনে। তারা বলছেন, উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতার কথা মানুষ যদি একটি বার ভাবে তাহলে আসন্ন জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে শাহরিয়ারকে মূল্যায়ন না করার কোন সুযোগ নেই।
এসব উন্নয়ন নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব শাহারিয়ার আলম বলেন, বাঘা চারঘাটের তৃণমূল লোকজনের চাহিদা বিবেচনা করে এলাকায় উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগীতায় শুধু বাঘা-চারঘাট নয়, বৃহত্তর রাজশাহীতেও ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামি নির্বাচনে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি তবে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, শুধু রাস্তা-ঘাট নয়, গ্রামীণ অবকাঠাম উন্নয়নের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, আমি এর আগেও অনেক উপজেলায় চাকরি করেছি। তবে এখানকার সাংসদ সদস্য ও বর্তান সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অনেক ভাল মানুষ। মুলত তাঁর প্রচেষ্টার কারনে এখানে নানা মুখি উন্ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বর্ষার কারণে দু’একটা কাজে সামান্য কিছু সময় ক্ষেপন ছাড়া সকল কাজই সুষ্ট এবং সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থ বছরেও বেশ কিছু কাজের চাহিদা পাঠিয়েছি। কাজগুলো অনুমোদন পেলে আগামীতে এ অঞ্চলে কোন কাঁচা রাস্তা থাকবেনা।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top