রোপা আমন রোপনে ব্যস্ত আদিবাসী নারী শ্রমিকেরা
ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর)
কৃষি জাগরণে ভূমিকা রাখছেন পাহাড়ি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নারী শ্রমিকেরা। নাটোরের লালপুরে রোপা আমন ধান রোপনে কৃষি জমিতে কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন করছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার অধিকাংশ কৃষক দেশীয় জাতের পরিবর্তে বিনা ধান-১৭, ৭, ২০, ব্রি-ধান ৪৯, ৬৬, ৭২, হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও কেয়া জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করছেন। এ বছর প্রায় ৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ১৩৮ মেট্রিক টন।
শনিবার (৭ আগস্ট ২০২১) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রহিমপুর গ্রামের জিয়া উদ্দিনের কৃষি জমিতে কয়েকজন পুরুষের সাথে পাহাড়ি আদিবাসী নারী শ্রমিকরা ইরি ধান রোপনের কাজে ব্যস্ত। আড়বাব ইউনিয়নের বড়বাহাদুরপুর গ্রামের রোপা (১৫), ময়না (৪৫), রিনা (৪২), চাঁদমনি (৪৫), সুনিল (৪৮), নিপেন (৪৭) একই সাথে কাজ করছেন।
চাঁদমনি বলেন, প্রতিদিন হাজিরা পান ৩০০ টাকা। আষাঢ়ে বর্ষণে বীজতলা তৈরি করে শ্রাবণের মাঝামাঝি থেকে জমি তৈরি, বীজতলার চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধান রোপনে এখন ব্যস্ত পার করছেন।
কৃষক সোলাইমান হোসেন বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপনের জন্য জমি তৈরি, চাষ, মই, সার ও শ্রমিক বাবদ প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি থেকে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত পরিচর্যা, সেচ, নিড়ানী, কিটনাশকসহ নানা ওষুধ, ধান কাটা, মাড়াই ও পরিবহন খরচ বিঘা প্রতি আরো ৫ হাজার টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কৃষক আব্দুর রহমান জানান, এ জাতের ধান একর প্রতি ৫০-৬০ মণ হয়ে থাকে। রোপা আমন জাতের ধান অল্প সময়ের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। সেচ ও উৎপাদন খরচও কম। ধানের দাম ভালো পাওয়ার আশা নিয়ে কৃষক রোপা ধান চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের প্রথম থেকে রোপা আমন ধানের চাষ শুরু হয়। বোরো ধান কাটার পর এ মৌসুমে ব্রি-৩৪, ব্রি-৫৮, ব্রি-২৮, কাটারিভোগ ও পাইজাম জাতের রোপা আমন ধানের অধিক মাত্রায় চাষ করে থাকেন কৃষকরা।
সাম্প্রতিক মন্তব্য