logo
news image

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীর ভিড়

শীত, হালকা কুয়াশা এবং কাঁচা রোদ গায়ে মেখে পরিবার-পরিজন আর বন্ধুবান্ধব মিলে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভিড় করছেন রাজধানীবাসী।

শিশুদের হৈ-হুল্লোড় আর তারুণ্যের কোলাহল সকাল থেকেই দেখা গেছে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই দর্শনার্থী আসা শুরু করলেও তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢল নামতে শুরু করেছে।

মেলায় বিকেল থেকেই টিকিট কাউন্টারগুলোয় দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের।

মেলার ১২তম দিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলার স্টলগুলোয় ছিল ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন সাজানো উপকরণগুলো। শিশুদের পছন্দের তালিকায় ছিল খেলনার দোকান। রিমোট কন্ট্রোল ও ব্যাটারিচালিত খেলনাসামগ্রী বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। আর তরুণীদের বেশিরভাগকেই দেখা গেছে সালোয়ার-কামিজের দোকানে ভিড় জমাতে।

রাজধানীর আরামবাগ থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেলায় এসেছি ব্লেজার কিনতে। শোরুমগুলোয় এ ধরনের কিনতে গেলে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু মাত্র ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় তা মেলায় পেয়ে যাচ্ছি। আর অনেক দোকান ও কালেকশন বেশি থাকায় দেখেশুনে পছন্দমতো কিনতে পারছি।

ছুটির দিনে ভিড় কেমন জানতে চাইলে পোশাক বিক্রেতা আলী হাসান বলেন, ‘ছয় বছর ধরে বাণিজ্য মেলায় দোকান দিয়ে আসছি। শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতার ভিড় যেমন বেশি থাকে বিক্রিও হয় কয়েক গুণ। সন্তোষজনক বিক্রি হওয়ায় খোশ মেজাজে দেখা যায় তাকে ও দোকানের অন্যদের।

এদিকে মেলায় নারীদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাসাবাড়ির সাজসজ্জায় ব্যবহার হওয়া সৌখিন সামগ্রীর দোকানে। বিভিন্ন রকমের হাতে তৈরি পণ্য কিনছেন তারা। ফুলদানি ও শোপিসগুলো ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে বলে জানান হ্যান্ডিক্র্যাফট বিক্রেতা মোতালেব। তিনি বলেন, ‘মেলা উপলক্ষে আমরা বেশকিছু নতুন ওয়াল শোপিস তৈরি করেছি। অন্যদিন তেমন বিক্রি না হলেও আজ সব বিক্রি হয়ে গেছে। তাই নতুন করে অর্ডার করতে হবে আমাদের।

বিকালে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, অন্যদিন মেলায় তেমন ভিড় ছিল না। কিন্তু আজ সকাল থেকেই ভিড় লক্ষণীয়। বিকালের পর ভিড় সামলে টিকিট বিক্রি করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top