বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক সংবাদে বলা হয়েছে- করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নয় বরং সবাইকে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে নিরাপদ দৈহিক দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।...
আমি যখন লেখাটি লিখছি তখন বাংলাদেশ সময় ২৫ মার্চ দুপুর ১টা। করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত সংখ্যা হলো চার লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ জন। মারা গিয়েছেন ১৮ হাজার ৯২২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন এক লাখ নয় হাজার ১৭২ জন। লেখাটি যখন ছাপা হবে তখন হয়তোবা মৃত সংখ্যা ১৯ হাজারে পৌঁছাবে।...
সঙ্গীতভুবনে আঞ্চলিক গানের একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। একটি বিশেষ অঞ্চলের কৃষ্টি-কালচারকে অবলম্বন করে আঞ্চলিক গান রচিত হলেও এতে বিশেষ বিশেষ গীতিকবি ও কণ্ঠশিল্পীই অনেক সময় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। লোকগীতি ও পল্লীগীতির ক্ষেত্রে যেমন গীতিকবিকে কেন্দ্র করে বিশেষ ঘরানার সঙ্গীতের প্রচলন শুরু হয়ে থাকে, আঞ্চলিক গানের ক্ষেত্রে সে রকম হয় না। লালনগীতি, হাছান রাজার গান ও শাহ আব্দুল করিম-এর ক্ষেত্রে যেমন গীতিকবির নাম উচ্চারণ করা হয়, রমেশ শীল, কুটি মনসুর কিংবা মোহাম্মদ হাশেম-এর ক্ষেত্রে তেমন উচ্চারণ করা হয় না।...
পাহারাদারদের ধরন পাল্টেছে সারা বিশ্বের সব জায়গায়। আজকাল আকাশ, বাতাস, অন্তরীক্ষে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কৃত্রিম পাহারাদাররা দিবারাত্রি সক্রিয়। এরা প্রকাশ্যে ও গোপনে জানা ও অজানা সব বিষয়েরই নজরদারী করে যাচ্ছে। আকাশে ড্রোন, মহাকাশে স্যাটেলাইট, সমুদ্রতলে সাবমেরিন কেবল ওৎ পেতে আছে নজরদারী করার জন্য -দিবারাত্রির প্রতিটি প্রহর। ...
শাবিপ্রবি এর ১ম ব্যাচের ছাত্র হিসাবে আমাদের নিজেদের কোনো সিনিয়র ছিলোনা। আমাদের নবীন বরন করেছিলো আমাদের শিক্ষকরা আর আমরা নিজেরা নিজেরা। তাই হয়তো আমাদের কেউ র্যাগিং করতে পারেনাই। আসলে এই শব্দের সাথে পরিচয় হয় অনেক পরে।...
একটি জনকল্যাণ সমিতির বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসে আছি, অনুষ্ঠান উপভোগ করছি। রাজধানীর একটি ইন্সটিটিউটের হলে আয়োজন। পরিপাটি হলরুম, এসি চলছে, আসনগুলোও আরামদায়ক। বসে থেকে মনে হচ্ছে, সবখানে অসম্ভব শান্তি। উন্নয়নের মোড়কে মানুষ এখন চরম অশান্তিতে আছে- হলরুমে বসে অন্তত সেটি বুঝার জো নেই। অতিথিরা বক্তব্য রাখছেন। দর্শকরা নি:শব্দে তা শুনছি।...
আবরার হত্যাকান্ডের নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা দেখে শুধু সারা দেশ কাঁদছে না- দেশের বাইরেও মানুষ কেঁদে হতাশা ব্যক্ত করছে। কেন ঘটলো এমন নিষ্ঠুর ঘটনা? হলে ওর কি কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল না? অথবা হৃদয়বান দরদী ছোটভাই বা কোন বড়ভাই? যার একটু দয়ামায়া ছিল, যে কিনা ওর পাশে দাড়াতো, ওকে হায়েনাদের আঘাতের হাত থেকে আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারতো? হলো ছেলেটার শরীরে না জানি কত শতবার স্টাম্পের কষাঘাতের নির্মমতা মৃত্যুদূত হয়ে আছড়ে পড়েছে। সেই নির্যাতনের কথা ভাবলেই গা শিউরে উঠে। কিন্তু আবরার নামক আলোটা বড্ড অসময়ে নিভে এক মহা আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছে।...
ওদের দেশে আন্ডারগ্র্যাড শেষে কর্মসংস্থান সম্ভব। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মাস্টার্স শ্রেণিতে গবেষণাকে বেশী প্রধান্য দেয়া হয়। তাই সবাই মাস্টার্স অথবা এম.ফিল, পি.এইচ.ডি করে না। করার দরকারও হয় না। সেজন্য বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও সিনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণা কাজের এসিস্টান্টশীপ অথবা স্কলারশীপ দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। ...
দু’হাজার এক থেকে তিন সাল পর্যন্ত একটি বেসরকারী টেলিভিশনের প্রতিবেদক ছিলাম। অনেক কাজের মধ্যে নিয়মিত বড় দায়িত্ব ছিল তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা, তাঁর দল আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় সংসদের ঘটনা অনুসরণ করা। মালিক পর্যায়ের একজন পরিচালক সংবাদ বিভাগের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি অসাংবাদিক। দেশে যখন আর কোন টিভি চ্যানেল ছিল না তখন সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান করে তিনি পরিচিতি পান। শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের খবরগুলো প্রচার করতেন বিরক্তির সঙ্গে, যেন প্রচার না করতে পারলে খুশি।...
জুয়াখেলা মানব সভ্যতার আদিম ও ঘৃণ্যতম নেশা। দেশে দেশে জুয়ার রয়েছে নানা অভিধান, নানা বাহারি নাম। প্রাচ্যের দেশগুলোতে কোরিয়ান শব্দ ‘পাচিংকো’ নামে জুয়ার ব্যবসা সরব। পাশ্চাত্যে ইটালিয়ান শব্দ ‘ক্যাসিনো’ নামেই জুয়ার আসর তৈরী ও প্রসার লাভ করেছে। জুয়া ব্যবসার সাথে জুয়াড়–দের ফতুর হয়ে যবার সম্ভাবনা, ঘটনা ও কুফল থেকে নিরুপায় হয়ে নিষ্কৃতি খুঁজতে মদ, বিয়ার ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণের প্রবণতা থেকে আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হিসেবে ‘বার’ ‘পাব’ ইত্যাদি বিস্তার লাভ করেছে। সংগে চুরুট, গাঁজা, আফিম, শিস, ইয়াবা ইত্যাদির বিক্রিও শুরু হয়েছে। ইসলাম ধর্মে জুয়াখেলা ও মাদক সেবন করা নিষিদ্ধ। কারণ মাদকসেবনের প্রভাবে মাতাল হলে যে কোন ভাল মানুষ বে-আইনী, অন্যায় ও অনৈতিক কাজ সংঘটিত করতে পারে। তাই মুসলিম দেশগুলোতে বিদেশীদের জন্য যৎসামান্য সংরক্ষিত স্থান ছাড়া প্রকাশ্যে ‘বার’, ‘পাব’, জুয়া ইত্যাদি নিষিদ্ধ। বাংলাদেশেও ‘বার’, ‘পাব’,জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু বিপথগামী, লোভী মানুষ জুয়াখেলাকে পেশা হিসেবে নিয়ে সাধারণ খেলাধূলা সম্পর্কিত ক্লাবঘরগুলোতে গোপনে দেদারসে বে-আইনী, ঘৃণ্য ব্যবসা শুরু করেছে। এজন্য নিশ্চই সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী রাঘব বোয়ালদের গোপন আঁতাত ও মদদ আছে।...