করোনাকে বলা হয় একটা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যারা শরীক হয়েছেন তারা সবাই যোদ্ধা। কেউ সম্মুখ সারির যোদ্ধা, কেউবা নেপথ্যে থেকে এই যুদ্ধে সহায়তা করছেন। এই যুদ্ধের মাঠে-ময়দানে শরীক হয়ে কেউ মারা যাচ্ছেন, কেউ বা শরীক না হয়েও ঘরে বসে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শিকার হয়ে অকালে আত্মাহুতি দিচ্ছেন।...
কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে মানুষের মধ্যে এক বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। মানুষের আচরণের মধ্যে নিজেরাই বেঁচে থাকার আকুতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। একজন সুস্থ মানুষের মধ্যে যে আচরণ, সেই মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়ে গেলে এবং সেই মানুষটি দুর্ভাগ্যক্রমে মৃত্যুবরণ করলে তার ওপর পরিবারের তথা সমাজের অপরাপর মানুষের আচরণ ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এক জটিল সমীকরণে রূপ নিয়েছে। কেউ বেঁচে থাকলে, রোগী হয়ে গেলে এবং মরে গেলে বিভিন্ন পর্যায়ে বর্তমানে যে সকল অমানবিক ঘটনা ও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তার কিছু বর্ণনা এই নিবন্ধে তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে।...
লিবিয়ার মিসদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশী হত্যা আবারো আমাদের দেশের অবৈধ মানব পাচারের ভয়াবহ দিকটি উন্মোচিত করেছে। দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারত, মিশর ও লিবিয়া হয়ে নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাবার পথে তারা লিবীয় মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে মুক্তিপণের জন্য জিম্মি হয়ে পড়ে। দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা এনে এসব মুক্তিপণ মেটানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। সময়মত মুক্তিপণ না পেয়ে আরো কিছু বিদেশীদের সাথে বাংলাদেশী যুবকদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর লিবীয় সরকারী কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর এক ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যাকারীদের নেতা খালেদ মিসাইকে মেরে ফেলেছে।...
ছোটকালে কবিতা পড়েছিলাম-‘কলম্বাসের মত কেবা পৌঁছে যাবে নতুন দেশ’। হ্যাঁ, কবিতার চরণটিতে আমেরিকার আবিষ্কারক ইতালীর অভিযাত্রী ক্রিষ্টোফার কলম্বাসের কথাই বলা হয়েছে। কত বড় মাপের নাবিক, কত বড় জ্ঞানী-গুণী মানুষ তিনি। সেভাবেই চেনে তাঁকে সবাই, বিশেষ করে আধুনিক প্রজন্মের জন্য পাঠ্যবইয়ে সেভাবেই তুলে ধরা হয়েছে তাঁকে। গোপন করা ছিল তাঁর অনেক তথ্য। সম্প্রতি মিয়ামীতে কলম্বাসের মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে। বোষ্টনে মূর্তির মাথা ভেঙ্গে লেকের পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। ভাস্কর কার্লো বিয়স্কির তৈরী দশ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের মূর্তিটি গ্রানাইটের বেদীতে বসানো ছিল। ১৯৩১ সালে ইতালীয় আমেরিকানরা নগর কর্তৃপক্ষকে এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন। ...
‘জন্মিলে মরিতে হইবে’- এটাই পৃথিবীর নিয়ম। করোনা বা অন্য কোন রোগ-শোকে বা যে কোন কারণে সবাই যে কোনদিন মারা যাব। মারা যাবার পর সবার ইচ্ছে থাকে নিজ জন্মভূমি বা এলাকায় তার দাফন, সৎকার করা হোক। যাতে আপনজনরা তার কবর দেখে বিশেষ দিনগুলোতে তাকে স্মরণ করে, তার জন্য দোয়া করে। এজন্য অনেকে মৃত্যুর পূর্বে শেষ ইচ্ছে হিসেবে তার লাশ দাফনের স্থানের কথা জানিয়ে দেন।...
বেশ কয়েক-মাস যাবৎ সারা পৃথিবীর বনি আদম করোনা ভাইরাসের কাছে আত্মসমর্পন করে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দিত্ব বরণ করে এ থেকে বাঁচার প্রানপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এত অল্পসময়ে সবকিছুকে থামিয়ে দেয়ার অদৃশ্য ক্ষমতা কোন ভাইরাসের বা মরণব্যাধির উপস্থিতি সাম্প্রতিক অতীতে এ ধরায় দৃশ্যমান হয়নি। যদিও নিকট অতীতে ইবোলা, সার্স, মার্স ডেঙ্গু ও ইন্ফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়তই হানা দিচ্ছে পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে কিন্তু সারাবিশ্বে এর বিস্তার না ঘটায় এগুলোর সর্বত্র প্রভাব দেখা যায়নি। বিশেষত এ ভাইরাসসমুহের অঞ্চল ভিত্তিক প্রভাব থাকলেও বৈশ্বিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়নি।...
আমারা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের সময় দেখেছি! কিভাবে সাক্ষিদের আতংকিত দিন কাটাতে হয়েছে। এখনো প্রতিদিন কোর্টে দেখি সাক্ষীগন কত অসহায় ভাবে আদালতের বারান্দায় বিচরণ করে উদায়াস্ত! তাদের নেই; আইনে কোন ভাতা ব্যবস্থা ; নাই জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্হা।...
আপনার চেনাজানা অন্তত একটি (সম্ভব হলে আরো বেশি) পরিবারের ঈদ উদযাপনের ভার আপনি নীরবে বহন করুন, দেখবেন অকৃত্রিম, অনাবিল এক স্বর্গসুখ আপনাকে আচ্ছন্ন করে রাখবে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, অর্থ গোবরের মতো। এক জায়গায় জমা থাকলে তা দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। কিন্তু তা ছড়িয়ে দিলে চারপাশটা উর্বর হয়। এবারের ঈদ আপনার সামনে সেই এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে। দেয়ার আনন্দ উপভোগ থেকে নিজেকে আর বঞ্চিত করবেন না, প্লিজ। আঁধার পেরিয়ে, করোনা-পরবর্তী বিশ্বে আমরা আরো মানবিক হব—আপাতত এটাই প্রত্যাশা।...
১০ মে বিশ্ব ‘মা’ দিবস। মায়ের প্রতি ভালবাসা আর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতি বছর বিশ্বব্যাপি বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালিত হয় মা দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয় বেশ মর্যাদার সাথে। পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে প্রিয় আর কেউ নেই। ‘মা’ শব্দটি খুব ছোট হলেও এর তাৎপর্য অনেক। আজকের এই দিনে বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাচ্ছি।...
মধ্যবিত্তের স্বপ্ন ভাঙার গল্প নিয়ে রচিত আর্থার মিলারের 'ডেথ অফ এ সেলসম্যান' নাটকটি। আমেরিকান এক সেলসম্যান সারাজীবন স্বপ্ন দেখেন পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ও ঋণমুক্ত জীবনের; সে স্বপ্ন শেষ হয় নিজের জীবনাবসানের মধ্য দিয়ে। সন্তানের স্বপ্ন পূরণেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় পিতার অক্ষমতা; আর মরনের মধ্য দিয়েই পিতা সন্তানদের জন্য সর্বশেষ চেষ্টার চিহ্ন রেখে যায়। একটি মৃত্যুর সাথে হাজারো স্বপ্নের বাঁচা-মরার গল্পের স্মৃতিস্তম্ভ 'ডেথ অফ এ সেলসম্যান'। ...