জাতিসংঘের মহাসচিব এ্যান্তনিও গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ক্ষুধার কারণে মৃত্যুঝুঁকিতে বিশ্বের লাখো মানুষ। বর্তমানে ৩৬টি দেশের তিন কোটি মানুষ মৃত্যু থেকে মাত্র একগজ দূরে অবস্থান করছে। আমাদের দেশে তিন কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবন যাপন করছে। করোনার প্রভাবে চাকুরীহারা হয়ে অনেকের আয় বন্ধ। অনেকের মজুরী কমে গেছে। বাজারে মাংসসহ নিত্য ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগ্রহণের মাত্র কমে গেছে। ...
সম্প্রতি তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেছেন- “আগে নিজে খাব, পরে তো দেব” (দৈনিক ইত্তেফাক ৮.৩.২০২১)। কথাটি এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় উভয় দেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য চুক্তি সই করার বিষয় সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জীর সামনে তিস্তা প্রসঙ্গ উত্থাপন করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।...
জাতীয স্মৃতিসৌধের পাশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবনগুলোর দরজায় তালা ঝুলেছিল ২০১৯ সালে। মেইন গেইট ছিল বন্ধ। কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারায় টেবিল চেয়া বেঞ্চে ধুলোবালির আস্তরণ জমে ছিল। করোনার কারণে ২০২০ সালটা নানা বিষের জ¦ালার মধ্যে কোনদিক দিয়ে যেন নিমিষেই পার হয়ে গেছে। এখন ২০২১ সালের দুটো মাস চলে যাবার সময় হয়ে আসতেই শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্যরে বাঁধ যেন ভেঙে গেছে। গ্রাম-গঞ্জের মধ্যে নেট সুবিধাবিহীন অবস্থায় থেকে অনেকের অনলাইন ক্লাসগুলোতেও অংশ নেয়া যায়নি। বাড়ির কৃষিকাজেও মন বসে না। সারাদিন ভবঘুরের মত এদিক-সেদিক ঘুরেফিরে আর কতদিন বাড়িতে বসে কাটানো যায?...
কোন্ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় না এই দেশে? নাম না জানা নতুন, নাম জানা পুরাতন, সব মাদকদ্রব্যের কোনটির চোরাচালান দেশে আসে, কোনটি দেশে উৎপন্ন হয়, কোনটি আমদানী করা হয়, কোনটি রপ্তানী হয়, কোনটি আর্ন্তজাতিক রুট নিয়ে দেশের ভেতরে ঢুকে আবার বাইরে চলে যায়। সব ব্যবস্থাই প্রচলিত আছে এদেশে।...
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (social safety net) হলো এমন একটি নিরাপদ বেড়াজাল যার মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। এটা কোন দেশের সার্বিক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (social security system) বা কর্মসূচির একটা অংশমাত্র। দেশে দেশে নিজ জনগণের প্রয়োজন অনুসারে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়ে থকে।...
গল্পটা আবার আমার ধীমান বন্ধুবর বলেই ফেলেছেন। তা হলো- আজকাল বস্তির রাজনৈতিক কদর নেই। বস্তিবাসীদেরকে মিছিলের জন্য আর ভাড়া করে নেয়ার দরকার হয় না। বিনা ভাড়ায় বস্তিতে কাউকে থাকতে দেয়া হয় না। বস্তির ঘরভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল আদায়ের বিশেষ কমিটির লোকজন খুব তৎপর। একটু দেরী হলেই নেমে আসে নির্যাতন। অবৈধ অর্থ ও চাঁদা উত্তোলনের জন্য নেতাদের নিযুক্ত লোকেরা টহল দেয় নিয়মিত। আগে ভোটের রাজনীতি ছিল তাই বস্তিবাসীদেরকে বেশ সমীহ করা হতো। এখন ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে হয় না। তাই কেউ ওদেরকে সম্মান করে কথাও বলে না। ...
পুলিশ থেকে বদলিসূত্রে ৩০.০৫.২০১০ খ্রি. তারিখে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে RAB সদর দপ্তর, ঢাকায় যোগদান করি। ...
অনেক আগে উত্তরের এক গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার সাথে ছিল ক’জন সহচর। কার্তিকের এক রোদেলা দুপুরে নিভৃত সেই পল্লীর ঘনবসতির মধ্যে এক বাড়ির বাইরের উঠানে বহু নারী-পুরুষ, শিশু একজন জটাধারী ব্যক্তির চারপাশে জটলা করে ঘিরে রেখেছে। তার পাশে অদ্ভুত পোশাকে ঘুঙুর পায়ে চারজন কিশোরী ঘুর ঘুরে নেচে চলেছে। জটলার ঠিক মাঝখানে একটি খাটিয়ার ওপর একজন নিশ্চল বৃদ্ধার শরীর কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কৌতুহল বশত: আমরা এগিয়ে গেলাম। জনভীড় ঠেলে সেখানে কি হচ্ছে জানতে চাইতেই গ্রামের একজন মহিলা বলে উঠলেন, বড় অসুখ ঝেড়ে সারানো হচ্ছে সেখানে। ব্যাটা ছেলেদের আর ভেতরে না ঢুকতে তিনি নিষেধ করলেন।...
পড়বি পড় মালির ঘাড়ে। একবারে আসল জায়গায়। ঢাউস জিপগাড়িটির গুঁতোয় কতবার কতকিছু ঘটে গেছে। কত মারপিট করা হয়েছে, কতজন জখম হয়েছে, হাসপাতালে গেছে, কে জানে? তখন ‘ভয়ে কেউ মুখফুটে কিচ্ছু বলে নাইক্কা’। জানালো আশিক টাওয়ারের একজন ব্যবসায়ী। আজও তিনি চারদিকে তাকিয়ে তারপর ভয়ে ভয়ে কথাগুলো বলছিলেন এক টিভি ক্যামেরার সামনে।...
ধীমান বন্ধুবর তার একটি লেখায় বলেছেন, “চুক্তির পর জানা যায় হাসপাতালে লাইসেন্স নাই। রোগীর মৃত্যুর পর জানা যায় ডাক্তার ভুয়া। আগুন লাগার পর জানা যায় ভবনের নকশায় ত্রুটি ছিল। দুর্ঘটনার পর জানা যায় গাড়ি বা লঞ্চের ফিটনেস নেই। শেয়ারবাজার বা ব্যাংক লুট হওয়ার পর জানা যায় কোম্পানি ভুয়া। খাল বিল ভরাট করে প্লট বিক্রির পর জানা যায় অনুমোদন ছিল না । ফ্লাইওভার-ব্রিজ তৈরির পর জানা যায় নকশায় ভুল ছিল । সাজা ভোগের পর জানা যায় আসামি আসল ছিল না। কোটি মানুষ খাওয়ার পর জানা যায় পণ্যে ভেজাল ছিল। লুটেপুটে বিদেশ পালানোর পর জানা যায় কোম্পানি হায় হায় ছিল......চলছে চলুক..”...