আজকে সকালে ঘুম থেকেই ওঠেই মনে হলো আজকের এই দিনটির কথা। ১৯৯৪ সালের এই দিন ২৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর কন্যা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী,আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উত্তরবঙ্গ ট্রেন সফর করার কথা ছিলো। সেই মোতাবেক আমরা লালপুর-বাগাতিপাড়ার সর্বস্তরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আব্দুলপুরে নেত্রীর ট্রেন সফর কে সফল করার লক্ষ্যে বড় একটি জনসভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।...
তখনকার দিনে দাদী-নানীদের দায়িত্ব ছিল অনেক। মায়েরা সন্তান জন্মদান করে রান্ন-বান্না, ঘরকান্নার কাজে ব্যস্ত থাকতেন আর কোলের শিশু ‘মানুষ’ করতেন পরিবারের বয়স্ক দাদী-নানী ও পড়শীরা। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয়ে গেলে ঘুমপাড়ানোর দায়িত্ব বর্তাতো বড়দের। শুধু কি তাই- পরিবারের সব ছোট বাচ্চাদের রুপকথার গপ্প শুনিয়ে তাপর ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে সবাইকে কল্পরাজ্যে ডুবিয়ে ঘুমিয়ে দিয়ে দাদী-নানীদের ছুটি জুটতো। কেউ তারপরও ঘুমুতে না চাইলে জুজুবুড়ি, ট্যাপট্যাপার মাও, রাক্ষস-খোক্কসের ভয়ের গল্প শোনাতো। ...
সমসামায়িক বৈশি^ক বাস্তবতায় জঙ্গীবাদ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ জঙ্গীবাদের সাথে উগ্রবাদ, মৌলবাদ, রাজনীতি এমনকি অর্থনীতিও এই আলোচনার মূলসুরে মিশে একটি জটিল বিষয়ে রূপায়িত হয়েছে। প্রায়শই: একজনের ধর্ম ও আদর্শকে অন্যজনের ধমর্, আদর্শ ও বিশ্বসের সংগে হীনভাবে তুলনা করে ভেদাভেদ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধর্ম (রিলিজিওন) ও বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক আদর্শ (আইডিওলজি)-র মধ্যে ধারনাগত পার্থক্য বুঝে, না-বুঝে অনেকের মধ্যে এই হীন প্রবণতা বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এখানে নিছক আতœহত্যা নয় বরং নিজে আতœঘাতী হয়ে বহু প্রাণ ও সম্পদ ধ্বংস করার অভীপ্সা এবং ইতোমধ্যে সংঘটিত বহু মারাতœক মৃত্যু-ঘটনা দেশে দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নানা বাস্তবতার সন্মুখীন হয়ে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিও এই দুখ:জনক প্রবণতার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে।...
সময়টা ছিল ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর। প্রায় দুপুর। লন্ডনের বুশ হাউসের ওয়েটিং রুম। গিয়েছি বিবিসি বাংলা বিভাগ পরিদর্শনে। ২৫ বছর যাবৎ বিবিসি শোনার অভ্যাস। তাই লন্ডনে বেড়াতে গিয়ে বিবিসিতে যাব না, সেটা তো হয় না।...
ছোট্ট মশার কি দারুন এক ক্ষমতা! ছোট্ট এডিস মশা গোটা জাতিকে সংকটে নিপতিত করেছে। তারা আমাদেরকে বর্তমানে এক মহাবিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশের মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে দিনাতিপাত করছে। একদিকে গরম, বৃষ্টি, বন্যা, নদীভাঙ্গন অপরদিকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের আহাজারি ও মৃত্যুভয়। এমন বাজে সংকটের মুহূর্ত আমাদের দেশে দীর্ঘদিন দেখা যায়নি, আঘাতও হানেনি!...
আমাদের দেশে রাস্তায় চলতে ফিরতে গাড়ির হর্নের শব্দ শোনা অথবা নিজেই বাজানো একটা অতি সাধারণ ব্যাপার। মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার হর্নের যন্ত্রণা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় বিধি বহির্ভূতভাবে নানা উচ্চ শব্দের আধুনিক হর্ন কিনে লাগানো হয় ও হরদম বাজানো হয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রাঙ্গণ, আবাসিক এলাকা ইত্যাদির সামনে সতর্ক বাণী লেখা থাকলেও গাড়ি চালকরা তা মানে না। অথচ সভ্য দুনিয়ায় রাস্তায় হর্ন বাজানোর অর্থ বিপদসংকেত অথবা গালি দেয়া বুঝায়। সেখানে কেউ কোন জরুরি বিপদে পড়লে হর্ন বজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কেউ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে পাশের ড্রাইভার তাকে হর্ন দিয়ে সতর্ক করে দেন। সাধারণত: এটাকে গালি দেয়া বুঝায়! উন্নত বিশ্বের রাস্তায় তাই ইচ্ছে করে কেউ হর্ন বাজায় না অথবা কারো বাজানো হর্ন শুনতে চায় না।...
সৌদি আরব থেকে দেশের পথে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট…। যাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া শেষে ক্লান্ত হয়ে বেশির ভাগ ঘুমে। এরিয়া ইনচার্জ হিসাবে আমি সিটে বসে আছি। হঠাৎ শুনতে পাই পাশেই ফুপিয়ে কান্নার শব্দ। উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখি বিশ থেকে বাইশ বছরের একটি মেয়ে কান্নারত। কারণ জানতে চাইলাম; সাধারণত দেশে ফিরতে কেউ কান্না করে না, থাকে উৎফুল্ল। মেয়েটি কিছুই বলে না। মনে করলাম হয়তো পাশের যাত্রী বিরক্ত করছে, ভয়ে কিছু বলছে না। তখন আমি তাঁকে আমার ওয়ার্কিং এরিয়ায় নিয়ে এলাম। তাকে অভয় দিয়ে বললাম- আপনি আমার ছোট বোনের চেয়ে বয়সে ছোট। আমাকে বড় ভাই হিসাবে আপনার সমস্যা বলতে পারেন।...
মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী, এটা সাধারণত: চারটি পর্যায়ে বিভক্ত। শিশু, কৈশোর, যৌবন ও বৃদ্ধ এ চারটি কালে মানুষের বিকাশ, ব্যপ্তি, কর্ম এবং হিসাব মেলানোর স্পৃহা লক্ষ্যনীয়। যে শিশুটি সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় সে কৈশোরে প্রস্ফুটিত হয়।...
প্রতিটি মানুষের দেহ ত্যাগ মানেই অগণিত স্বপ্নের মৃত্যু। সাংবাদিকতা আমার কাছে পেশার চেয়েও বেশি কিছু। আমি যদি বুঝি কেউ ভাল সাংবাদিকতা করতে আন্তরিক আমাকে তা আকৃষ্ট করে। প্রকৃত সাংবাদিকতার স্বার্থে, সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কেউ আমার কোন ভূমিকা প্রত্যাশা করলে আমি সাধারণত দ্বিতীয় প্রশ্ন না তুলে হাত বাড়াই। ...
১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ছিলো রফিক সফিক সালাম বরকত সহ নাম না জানা আরো অনেকে।...