দুড়দুড়িয়ার তাঁত ও টুকরি শিল্পে দুর্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নাটোরের লালপুরের দুড়দুড়িয়ার কারিগর পাড়ার টুকরি শিল্প এবং তাঁত শিল্প চরম দুর্দিন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, দুড়দুড়িয়া কারিগরপাড়া ২০০ কাটি (তাঁত) ছিল এখন প্রায় ১০০ মত আছে। পুঁজির অভাব। উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে না। মহাজন' ঋণ দেয়। পুঁজির অভাবে মহাজন নিকট থেকে ঋণ নিতে হয়। মহাজন' সুতা এনে দেয় আবার ওই পরিমাণ গামছা শাড়ি লুঙ্গি নিয়ে যায়। কাঁচামাল নিজেরা কিনতে পারলে উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য ভালো পেত।
অপর দিকে টুকরি বা জুরি লিচুর জন্য তৈরি হচ্ছে আর কিছুদিন পর আমের টুকরি তৈরি হবে।
পুঁজির অভাবে নিজের টাকায় বাস কিনতে পারে না তাই মহাজন দেওয়াটাই বাঁশ কিনে দিবো নাই। একটি টুকরির মূল্য ২০ টাকা। একটি বাঁশের মূল্য ২০০ থেকে আড়াইশো টাকা। একটি বাঁশের ৩০-৩৫ টি টুকরি হয়। বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী করার কারণে যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকায় তাদের উৎপাদিত মালামাল সরবরাহ দিতে পারছে না। আবার প্রয়োজনীয় কাঁচামালও জোগাড় করতে পারছে না, তাই তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজে লিপ্ত থেকে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া এবং সংসার খরচ চালায়। তাই সরকারিভাবে ঋণ দিয়ে তাদের পুঁজির ব্যবস্থা হলে তারা অসময়ে ঘরে বসে বসে নিজেদের ইচ্ছামত টুকরি বানিয়ে রাখতে পারলে এখন চড়াদামে বেচতে পারত এবং বেশি লাভবান হতো। ব্যবসায় মন্দাভাব হয় টুকরি শিল্প এবং তাঁত শিল্প উভয়টাই ধ্বংসের মুখে। মহাজনের কাছে জিম্মি পুঁজির অভাবে তাই তারা অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য