পঞ্চগড়ে নিহত জাহিদ হাসানের গ্রামের কেউ জানতেন না তারা আহমদিয়া অনুসারী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম নাটোর
পঞ্চগড়ে আজমদিয়া অনুসারীদের জালসাকে কেন্দ্র করে স্থাণীয় এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত জাহিদ হাসান (২৪) এর বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কাছুটিয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে তিনি। সদ্য বগুড়ার টিএমএসএস ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে বিএসসি পাস করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, জাহিদ হাসান এলকায় ঠান্ডা ও ভদ্র স্বভাবের ছেলে হিসেবে সবাই জানত। প্রতিবেশীরা কখন বুঝতে পরে নাই তারা আহমদিয়া অনুসারী।
জাহিদ হাসানের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জাহিদ হাসান ২০১৯ সালে , পরে আমি ও স্ত্রী ২০২০ সালে আহমদিয়া অনুসারী হই। আমি ও ছেলে জলসায় যাই। সঙ্গে মেহমান হিসেবে আমার সহদর ছোট ভাই মহসিন আলীও যায়। আন্দোলন চলাকালে মাঠের এক নম্বর গেটে ইটের আঘাতে জাহিদ পরে যায়। তখন বিক্ষুব্ধ লোকেরা চাপাতি দিয়ে ছেলের ঘারে কোপ দেয়। এত ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, রাত ১০টার দিকে আমার বাড়ির পাশে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
স্থাণীয় ওয়ার্ড সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, জাহিদ হাসানের বাবা ও আমি এক সাথে সৌদি আরবে ছয় বছর কাজ করেছি। এক সঙ্গে মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। কোন দিনে এলাকার কেউ জানতো না যে তারা আহমদিয়া অনুসারী। জাহিদের মৃত্যুতে বিষয়টি সামনে এলো।
সাম্প্রতিক মন্তব্য