logo
news image

পবিত্র শবে মিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পবিত্র শবে মিরাজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঊর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণের ঐতিহাসিক ও অলৌকিক ঘটনার স্মারক দিবস।
দিন পেরিয়ে আঁধার নামলেই আসবে মহিমান্বিত এই রজনী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা শবে মিরাজ। ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরো নবুওয়াতের ইতিহাসেও এটি এক অবিস্মরণীয় ঘটনা।
এ রাতেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র নগরী মক্কা থেকে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে সপ্তম আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তাঁর এ সফরেই উম্মতে মোহাম্মদির জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়। এ রাত সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র।
মহানবী (সা.) এ রাতে প্রথমে কাবা শরিফ থেকে বোরাক নামের বাহনে করে পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে যান। সেখানে অন্যান্য নবী-রাসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজে ইমামতি করেন। এরপর ঊর্ধ্বলোকে সফর শুরু করেন। এ সময় তিনি নভোমণ্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন।
এই রাতে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) সপ্তাকাশের ওপরে সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন।
শবে মিরাজের এই মহিমান্বিত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পবিত্র শবে মিরাজ ১৪৪৪ হিজরি উদ্যাপন উপলক্ষে বেলা দেড়টায় অর্থাৎ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র শবে মিরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top