logo
news image

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

আনোয়ারা ইমাম শেফালী, লালপুর (নাটোর)
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন চলাকালীন বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে ‘গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন এন্টিমাইক্রোবাইয়াল রেসিস্টেন্স’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২২) সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সাউথ এশিয়ান ফোকাল পয়েন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন এন্ড রিসার্চ হিসেবে কর্মরত নাটোরের লালপুরের ধুপইল গ্রামের কৃতি সন্তান ড. এ এস এম শাহাব উদ্দিন সবুজ। তিনি ইউনিসেফ-এর প্রতিনিধি হিসেবে ওই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এ নিয়োগ সারা বাংলাদেশের অহংকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৮৫ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকারের মাধ্যমে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এ নিয়োগ পান ড. এ এস এম সাহাব উদ্দিন সবুজ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এই প্রথম কোন বাংলাদেশী হিসেবে পি-ফোর শ্রেনীর চেয়ারে ২০১৮ সালের ১ মার্চ জাতিসংঘে যোগদান করেন।
তিনি নাটোরের লালপুরের ধুইপল গ্রামে ১৯৮৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শাহজাদ মিয়া ও নূরজাহান বেগমের সন্তান।
ড. শাহাব উদ্দিন সবুজ শিক্ষাজীবনে ২০০০ সালে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি ও বাংলাদেশ রাইফেলস্ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০২ সালে কৃতীত্বের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ডেভোলেপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা) থেকে মলিউকুলার মেডিসিনে সিজিপিএ ৩.৯২ এবং ২০০৯ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে সিজিপিএ ৩.৮৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০১১ সালে পদক্ষেপ নামের একটি এনজিওতে এক বছরের জন্য চাকুরী করেন এবং ২০১২ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রিসার্চ এ্যাসোসিয়েট হিসেবে চাকুরী শুরু করেন। এরপর সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত এরাসমুস মুনডাস পিএইচডি স্কলারশীপ প্রোগ্রামের জন্য তিনি নির্বাচিত হন।
২০১৭ সালে ২৫৬জন পিএইচডি স্টুডেন্টদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ বার্সেলোনা, স্পেন ও ভিইউ ইউনিভার্সিটি অফ নেদারল্যান্ড থেকে যৌথভাবে ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মেডিসিন থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এরই মাঝে এক বছর বেলজিয়ামের ব্রাসেলস্ ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক হেলথ রিসার্চার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পিএইচডি চলাকালীন সময় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল প¬স-ওয়ান এবং ইউরোপ ভিত্তিক ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে তাঁর দুটি করে গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়।
যা এখন পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে। এরই মাঝে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর ৩৭টি দেশে বিভিন্ন সেমিনার ও ফেলোশিপে যোগদান করেন। তিনি ২০১৭ সালে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে শেষ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ড. শাহাব সবুজ ব্যক্তিগত জীবনে এক সন্তানের জনক।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top