logo
news image

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে

ব্যবসায়ীদের আগমনে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জমে উঠতে শুরু করেছে বাজার। তুলনামূলকভাবে দাম নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি ক্রেতারা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন জাতের আমের সমারোহ ঘটলে দাম আরো কমে যেতে পারে।তীব্র দাবদাহের কারণে দ্রুত পাকতে শুরু করেছে আম। এসব আমের মধ্যে রয়েছে গোপালভোগ, খিরসাপাত, খুদি খিরসা, মধু চুষকি, সাটিয়ার কেড়া, বৃন্দাবনী, টিক্কাফারাস, কালিভোগ, রানিভোগসহ বিভিন্ন জাতের গুটি আম। জেলার বৃহত্তম আমবাজার কানসাট, শিবগঞ্জ, রহনপুর, মল্লিকপুর, ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন, সদরঘাট ও তহাবাজারে উঠতে শুরু করেছে ওইসব আম। আর গুটি জাতের বৃন্দাবনী, রানিভোগ, কালিভোগ আম মণপ্রতি কেনাবেচা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। আর গোপালভোগ ১৮০০ থেকে ২৪০০ টাকায়, খিরসাপাত ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকায়।কানসাটের আম ব্যবসায়ী আনসারুল হক বাংলামেইলকে বলেন, ‘জুনের মধ্যভাগে বিভিন্ন জাতের আম বাজারে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলে দাম কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ওপর আবার রমজান মাস। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রমজানের আগেই আগাম জাতের কিছু সুস্বাদু গুটি আম বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাজদার রহমান বাংলামেইলকে জানান, জেলার ৫ উপজেলায় ২৪ হাজার ৪শ ৭০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৯ লাখ আমগাছ রয়েছে। এবার তেমন ঝড় না হলেও কয়েক দফা বৃষ্টিপাতের কারণে আমের আকার, রঙ ও স্বাদ বেশ ভালো হয়েছে। এ কারণে এ মওসুমে কৃষকরা অনেকাংশে লাভবান হবে। তবে চলতি মওসুমে তেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে আমের উৎপাদন দুই লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।শহরের তহাবাজারের আম ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত আমচাষী ও ব্যাপারিদের ভিড়ে এখন মুখরিত হয়ে উঠতে শুরু করেছে আমের বাজারগুলো। বাগান থেকে আম পাড়া, টুকরি তৈরি, বাঁধাই ও ট্রাক বোঝাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছে বাজারের লক্ষাধিক আমচাষী ও ব্যবসায়ী। জেলার প্রসিদ্ধ আম কেনার জন্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চৌমুহনী, ফেনী, সিলেট, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা আসা শুরু করেছে।সূত্রমতে, জেলার ঐতিহ্যবাহী আমবাজার কানসাটে বিভিন্ন তের আমের সমাগমে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। প্রাচীন এই আমের বাজারে সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন রিকশা-ভ্যানে করে বিপুল আম আসছে। প্রতিদিন দুই কোটি টাকার ওপরে আম বেচাকেনা হচ্ছে। তাছাড়া সরাসরি বাগান থেকে আম পেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে।কানসাটের আম ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, এ বছর বাগানে আম কম থাকায় চাহিদা বেশি। সে কারণে গেল বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবেন ব্যবসায়ীরা।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top