সংসদে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড বিল ২০১৮ পাস
প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক। ।
ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড অধ্যাদেশ ১৯৮২ রহিত করে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় বিধান করে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সংসদে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড বিল, ২০১৮ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একক হিসেবে পরিচিত এককসমূহ সমগ্র বাংলাদেশে ওজন বা পরিমাপন যন্ত্রের মানদন্ডের মানদন্ড একক হিসেবে ব্যবহারের বিধান করা হয়েছে।
বিলে সরকার সময় সময় গ্রেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওজন ও পরিমাপের বিভিন্ন ভিত্তি একক প্রতিপাদন বা উপযোগী করতে পারবে বলে বিধান করা হয়েছে।
বিলে ভিত্তি এককসমূহের জাতীয় মানদন্ড প্রস্তুত, পরিমাপনের সেকেন্ডারী মানদন্ড একক, প্রচলিত ওজন ও পরিমাপনের মানদন্ডে রূপান্তর, রেফারেন্স মানদন্ড, সেকেন্ডারী মানদন্ড, প্রচলিত মানদন্ড, ওজন বা পরিমাপনের মানদন্ড যন্ত্রসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলে পরিদর্শক কর্তৃক ওজন, পরিমাপন অথবা পরিমাপন যন্ত্র প্রতিপাদন এবং সিলমোহর প্রদান, ওজন পরিমাপন ও পরিদর্শন এবং সত্যতা প্রতিপাদনের ক্ষমতা, আবদ্ধ মোড়ক ও ধারণাপাত্রের অভ্যন্তরস্থ বস্তু পরিদর্শন এবং প্রতিপাদনের ক্ষমতা, ওজন এবং পরিমাপন উপযোগীকরণের ক্ষমতা, উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারীর রেকর্ড ও দলিলপত্র সংরক্ষণ, মডেল অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে নিবন্ধন সনদ ছাড়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন পাম্প থেকে পণ্য লেনদেন করা যাবে না বলে বিধান করা হয়েছে। পাশাপাশি পণ্য মোড়কজাতকরণ ওজন বা পরিমাপনের উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানি এবং মোড়কজাতক পণ্যের ব্যবসা সনদ বা নিবন্ধন ব্যতিত করা যাবে বলে বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে মানদন্ডহীন ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র অথবা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানির অনুমতি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করার বিধান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিলে মেট্রিক পদ্ধতির ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র আমদানি, ইমারত ও স্থাপনা তৈরি বা মেরামত করার ক্ষেত্রে সিডিউলে বা ব্রুসিয়ারে উল্লেখিত পরিমাপন অনুসরণ করার বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে স্ট্যাম্পবিহীন বাণিজ্যিক ওজন বা পরিমাপন বিক্রয় বা ব্যবহার নিষিদ্ধকরা হয়েছে।
বিলে অনুমোদিত মানদন্ড লংঘনে অন্যুন ১ বছর কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা এবং অনূর্ধ্ব ৩ বছর ও ৫ লাখ টাকা জরিমানাসহ অপরাধ ভেদে বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড বিধান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, নূরুল ইসলাম ওমর, রুস্তম আলী ফরাজী, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সেলিম উদ্দিন, ডা. মো. আককাছ আলী সরকার, নূরুল ইসলাম মিলন, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে কয়েকটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সম্পাদনায়: আ.স ২৩/১০/২০১৮
সাম্প্রতিক মন্তব্য