logo
news image

নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় সড়কে মানুষের ভোগান্তি

ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর)
নাটোরের লালপুরে ঠিকাদারের অবহেলায় সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলার ধুপইল থেকে বিলমাড়িয়া পর্যন্ত ২০.৬২৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হয় গত বছর ২৮ নভেম্বর। খানাখন্দের সৃষ্টি করে কাজ বন্ধ রাখায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২৩ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৩৩৪ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ধুপইল থেকে আব্দুলপুর, সালামপুর, লালপুর হয়ে বিলমাড়িয়া পর্যন্ত ২০.৬২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু শুরু। বর্তমান ১২ ফুট রাস্তা সম্প্রসারণ করে ১৮ ফুট প্রসস্ত হবে। ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর যার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট ২০২১) দেখা যায়, খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে হেলে-দুলে যানবাহন চলাচল করছে। মুখোমুখি দুইটি গাড়ি পার হতে পারে না। ভাঙা স্থানে বৃষ্টির পানি জমে কাদা সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি করে কাজ বন্ধ থাকায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে পানি-কাদা আর রোদে ধুলায়ময় থাকে সড়ক। সম্প্রসারণের জন্য রাস্তার দুই দিকে গর্ত করে কাজ বন্ধ রাখায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত শনিবার (৩১ জুলাই ২০২১) এই সড়কে দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত হন।
সাঁইপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। রাস্তার দুই পাশে গর্ত করে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তার কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া দেওয়া হচ্ছে।
পথচারী শাহজাহান আলী সুজন বলেন, রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পরও বন্ধ রয়েছে। অসুস্থ ও প্রসুতি রোগীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ছায়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিমানুর রহমান বলেন, রাস্তটি এতো ভাঙা বৃষ্টিতে কাদা-পানি আর রোদে ধুলায় চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
অটোচালক রেজাউল ইসলাম বলেন, ভাঙা সড়কে নতুন অটো নিয়ে কয়েকদিন চলাচল করলেই তা বিকল হয়ে যায়। বৃষ্টিতে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
রাস্তার কাজের ঠিকাদার নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, বালি-ভরাট সংকটের কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। লকডাউন, মালামাল পরিবহন সমস্যা ও শ্রমিক সংকট কাজে বাধাগ্রস্থ করছে। কাজের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত আছে।
লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেন, জনগণের ভোগান্তির কথা ভেবে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। মৌখিকভাবে ও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেভাবে কাজ এগুচ্ছে না।
নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ বন্ধ রাখায় ভোগান্তি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top