বিতর্কে কুমিল্লায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা জিলা স্কুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা। ।
বিতর্কচর্চা মানুষকে বদলে দেয়। প্রতিনিয়ত যুক্তিবাদী মানুষ গড়ার পথ দেখায়। মেধা ও মননকে শাণিত করার পথ বাতলে দেয়। আগামী দিনে নিজেকে তৈরি করার জন্য প্রস্তুত করে। তাই নতুন প্রজন্মকে যুক্তির মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
রোববার (১১ নভেম্বর) কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দিনভর নানা পর্বে যুক্তির মেলায় ঘুরেফিরে বেশির ভাগ আমন্ত্রিত অতিথি এমন কথা বলেন। পুষ্টি-প্রথম আলো কুমিল্লা অঞ্চলের স্কুল বিতর্ক উৎসবে দিনব্যাপী স্কুলের খুদে বিতার্কিকদের মিলনমেলা হয়। এতে যুক্তির মেলায় সৃজনশীলতার রং ছড়ানোর আহ্বানও জানানো হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে নগরের ফরিদা বিদ্যায়তনের শিক্ষক সম্পা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এরপর উৎসবের উদ্বোধন করেন ভেন্যু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার।
পরে কুমিল্লা নগরের ১৫টি ও জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ১টি বিদ্যালয়সহ মোট ১৬টি দল দিনভর সনাতনী বিতর্কে অংশ নেয়। এতে চূড়ান্তপর্বে ওঠে কুমিল্লা জিলা স্কুল ও আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস হাইস্কুল। এই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা জিলা স্কুল। এতে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হয় কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রদ্যোত বিকাশ সূত্রধর।
বিকেলে সমাপনী পর্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামাল নাছের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিতার্কিক তানভীর সালেহীন ইমন, রোটারির ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর দিলনাশি মোহসেন, সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি ও কুমিল্লা বিতর্ক উত্সবের প্রধান সমন্বয়ক বদরুল হুদা জেনু ও পুষ্টির কুমিল্লা অঞ্চলের বিক্রয় ব্যবস্থাপক সমর ঘোষ, প্রথম আলোর ইভেন্ট নির্বাহী বিবর্ধন রায় ইমন। উৎসবে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার সদস্যরা।
উৎসবে কুইজ প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক বিভাগে বিজয়ী হয় কুমিল্লা নগরের অ্যাথনিকা ইন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও নিম্ন মাধ্যমিক বিভাগে বিজয়ী হয় কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, মেডেল, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। এ ছাড়া অংশ নেওয়া ৬৪ জন শিক্ষার্থীকেও সনদ দেওয়া হয়। বিজয়ীরা ঢাকায় জাতীয় উৎসবে অংশ নেবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মো. জামাল নাছের বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে যুক্তিবাদী মানুষ হতে হবে। যুক্তির মিছিলে, মেধা ও কৌশলে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হবে। যুক্তিশীল মানুষ সমাজে মর্যাদা পান। সবার কাছে স্নেহ ও শ্রদ্ধার পাত্র হন। খুদে শিক্ষার্থীদের সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো করতে হবে।
দেশের ৪০টি অঞ্চলে হবে বিতর্ক উৎসব। প্রতি জেলায় চ্যাম্পিয়ন বিতর্ক দল ঢাকায় জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসবে অংশ নেবে। আঞ্চলিক পর্ব শেষে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন হবে চূড়ান্তপর্বের। বিতর্ক উৎসবকে সামনে রেখে ঢাকায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য